নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
পেকুয়ায় কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: এর ত্রি বার্ষিক নির্বাচন আজ । এশিয়ার সর্ব বৃহৎ সমবায়ী এ প্রতিষ্টানের নির্বাচন আজ সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। পেকুয়া কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: অর্থলগ্নি ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্টান হিসেবে সমাদৃত। ব্যবস্থাপনা পর্যদের এ নির্বাচনকে ঘিরে পেকুয়ায় উচ্ছাস তৈরি হয়েছে। দেশের যেকোন নির্বাচনের চেয়ে এ প্রতিষ্টানের নির্বাচন কোন অংশে কম নয়। প্রায় ৬ হাজার ৪ শত ২জন সদস্য এ নির্বাচনে সরাসরি ব্যালটের মাধ্যমে ওই সমিতির নেতা নির্বাচিত করবে। পেকুয়ায় সমবায় সঞ্চয় ও ঋনদান সমিতি লিমিটেড হিসেবে এর পরিচিত হয়। বর্তমানে বৃহৎ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্টান হওয়ায় এই সমিতি কাল্বের সাথে সংযুক্ত হয়। মূলধন দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকার বেশি সেই সাথে স্থায়ী সম্পদ ও রয়েছে। স্বত্তের মূল অংশীদারা হচ্ছেন আমানতকারীগণ। পেকুয়ায় অর্থ ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্টান সদর প্রসার লাভ করেছে। আজ পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজারস্থ সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে ভোট গ্রহন চলবে। মোট ৬টি পদের জন্য ১৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে যাচ্ছেন। এই মধ্যে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪ জন, সহ সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন ২ জন, এছাড়াও সেক্রেটারী পদে প্রার্থী হয়েছেন ৩ জন। ৩টি সদস্য পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ৮ জন। এ সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। এদের মধ্যে সম্পাদক পদে বর্তমান সেক্রেটারী মাষ্টার মো: ইদ্রিস তৃতীয় বারের মত প্রার্থী হয়েছেন। একই পদে প্রার্থী হয়েছেন আইনজীবি সহকারী তারেক ছিদ্দিকী ও মাষ্টার মোজাম্মেল হক। এদিকে ইদ্রিস ইতিপূর্বে এ ব্যবস্থাপনা পর্যদে দু বার নির্বাচিত হয়েছেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে এই নির্বাচনে ভোটাররা বর্তমান নেতৃত্বকে পছন্দ করছেন না। ভোটাররা সমিতি রক্ষার স্বার্থে নেতৃত্বের পরিবর্তন চাই। ভোটাররা নতুন নেতৃত্বের দিকে ধাবীত হচ্ছে। ওই সমিতির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন ওই সমিতির অব্যবস্থাপনার জন্য বর্তমান পর্যদের সভাপতি মাষ্টার নাছির উদ্দিনের যোগ সাজসে সেক্রেটারী, ম্যানেজার, সদস্য ইসমাইলসহ কয়েকজন সদস্যর গোপন সদস্যর গোপনে সমিতির লক্ষ কোটি টাকা আত্মাৎ করছে বলে জানা যায়। এ জন্য তদন্ত কমিটির ও গঠন করা হয়। মূলত ২৮ বছর পর্যন্ত কথিত সদস্যরা সমবায় অভিজ্ঞতার সনদ প্রাপ্তির ইস্যু নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মাত্রই ৪০ জন সদস্য ক্ষমতা লাভের জন্য লড়াই করে সিন্ডিকেট করে হাজার হাজার সদস্য সদস্যার চোখে ফাকি দিয়ে তারা নির্বাচন করে যাচ্ছে। অথচ অপর সমিতি কক্সবাজার বান্দরবন সহ নানা সমিতি কর্মকতারা ভোটে নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর উক্ত অভিজ্ঞতার সনদ সংগ্রহ করে সমিতি পরিচালনা করে। কিন্তু তা না হয়ে পেকুয়াতে ব্যতিক্রম ভাবে এ সমিতিতে নির্বাচিত হয়ে সমিতির অর্থ লুটপাট করে যাচ্ছে। বিগত সভায় কার্য বিবরণী ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অধিকাংশ সদস্যারা সম্মত ছিলেন না। ওই সমিতির জমি ক্রয় ও ঋণ বিতরণে স্বজন প্রীতি ও দূর্ণীতির আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ আছে। সমিতির অর্থ লোপাট হয়েছে। এ জন্য বর্তমান কমিটির সভাপতি মাষ্টার নাছির উদ্দিনের সিন্ডিকেটের ভুমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। সম্পদ সংগ্রহ ও সমিতির নামে স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করা হয়েছে। ওই খাতে ব্যয়িত মূলধনের বিপুল অংক গেছে সভাপতি ও সিন্ডিকেটের পকেটে। ঋণদান সমিতি সুদুর প্রসারী সকল পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান কমিটির সভাপতি মো: নাছির উদ্দিন। এদিকে ভোটাররা এসব অদক্ষতার জন্য নতুন নেতৃত্বের দিকে মুখ ফিরিয়েছে। এদিকে ভোটাররা জানিয়েছেন সভাপতি পদে মাষ্টার মাহাবুর সাথে মাষ্টার নাছির উদ্দিনের হাড্ডা লড়াই হবে। অপর দিকে সেক্রেটারী পদে মো: ইদ্রিস ও মো: তারেক ছিদ্দিকীর মধ্যে হাড্ডা লড়াই হবে। ভোটাররা জানিয়েছেন আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আশা করছি অতীতের সব ব্যর্থতার অবসান ঘটবে এ সমিতি থেকে। বর্তমানে সমিতিকে ঠিকে রাখতে হলে তরুণ্য ও সমবায় ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে হবে। বর্তমানে সকলে দূর্ণীতিবাজদের ভোটাররা অবশ্যই ব্যালেটের মাধ্যমে প্রত্যাখান করবে। এদিকে সমিতির সভাপতি পদপ্রার্থী মাষ্টার নাছির উদ্দিনকে সমিতির সদস্য সদস্যারা বয়কট করার জন্য গত ২৩ মার্চ পেকুয়ার বিভিন্ন স্থানে সমবায় সমিতির সচেতন সদস্য ও সদস্যারা ব্যানারে মানববন্ধন ও গাড়ী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।ওই মানবন্ধনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল সমিতি বাঁচাও, দুর্ণীতিবাজদের হঠাও, বাঁচাও সমিতি হাঠাও দূর্ণীতি গরীব দু:খী মেহনতি মানুষের কোটি টাকার আমানত রক্ষা করোও। সমিতির সূত্রে জানা যায় সমিতির বর্তমান মূলধন হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকার উপরে। তাদের সম্পদের মধ্যে রয়েছে পেকুয়া বাজারের বানিজ্যিক এলাকায় একটি দ্বীতল মার্কেট, পেকুয়া বাজারের একমাত্র কমিউনিটি সেন্টার, সদরে প্রায় ২ একর জমির মালিক হয়েছে সমিতিটি। সমিতির ম্যানেজার অসিম কুমার জানান, গত ১৯ মার্চ নির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক থাকলেও পুলিশের বাঁধার কারণে নির্বাচনের তারিখ পেছানো হয়েছে।
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিতব্য তাদের নির্বাচনে প্রায় ৬ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে বলে নির্বাচন পরিচলানা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৪ জন। তারা হলেন, মোহাম্মদ আলম (চেয়ার), মাষ্টার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন (দোয়াত কলম), মাষ্টার মাহবুব আলম (প্রজাপতি), মাহমুদুল করিম ফারুকী (ছাতা)। সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন ২ জন। তারা হলেন, সৈয়দ বেলাল হোসেন (হরিণ), মোহাম্মদ শাকের (আনারস)।
সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন, মোহাম্মদ ইদ্রিছ (গোলাপ ফুল), মোহাম্মদ তারেক সিদ্দিকী (কলসী), মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক (আম)। সদস্য পদে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন আবুল হাসেম (বালতি), মোহাম্মদ আলমগীর (মই), ইসমাইল সিকদার (টিয়া পাখি), জাকের হোসাইন সওঃ (রিক্সা), জাকের হোছাইন (তালা চাবি), জাফর আলম বিএ (কাতাল মাছ), নাজেম উদ্দিন (গাড়ী), সামশুল আলম (সিলিং ফ্যান)।
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা সমবায় অফিসার ওসমান গনি, সহকারী নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন মঈন উদ্দিন ও মনজুর আলম।
এ ব্যাপারে জানতে সমিতির সভাপতি মাষ্টার নাছির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ওনার ব্যবহারকৃত মোবাইল নাম্বারে কল দিলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
###############
পেকুয়ায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে অসহায় কৃষকের অর্ধ লক্ষাধিক টাকা সবজি ক্ষেত বিনষ্টের অভিযোগ!
নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়া:
পেকুয়ায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে অসহায় কৃষকের সবজি ক্ষেত বিনষ্টের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই দরিদ্র ভুক্তভুগী অসহায় কৃষকের অর্ধ লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগে সৃজিত ক্ষেত বিনষ্টের আশু প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সু’দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ঘটনাটি ঘঠেছে, উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া এলাকায়। জানা যায়, উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিনজুম ভিলিজারপাড়া এলাকার মৃত শফিকুর রহমানের পুত্র দরিদ্র কৃষক মোঃ আলী স্থানীয় জারুল বনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংগ্লন্নে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা দায়দেনার পুঁজি বিনিয়োগে ৩কানি জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির সবজি¦ ক্ষেত আবাদ করেন। ঘটনার দিন গতকাল ২২মার্চ মঙ্গলবার সকালের প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সবজি¦ চাষী কৃষক মোঃ আলীর আবাদকৃত ক্ষেতে পানিতে তলিয়ে যায়। এসময় তারই প্রতিবেশী প্রভাবশালী সবজি¦ বাগান মালিক মোঃ আশরফ আলী ও তার পুত্রদয় মোঃ আলীর সবজি ক্ষেত সংগ্লন্নের জমি দিয়ে বিদ্যমান পানি চলাচল পথটি বন্ধ করে দেন। এতে কৃষক মোঃ আলীর আবাদী সবজি ক্ষেতে অস্বাভাবিক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পরে, সবজি চাষী মোঃ আলী তার ক্ষেতের পানি নিষ্কাশন করতে চাইলে অভিযুক্তরা তাতে বাঁধা দেন। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে দু’সবজি¦ ক্ষেত প্রতিবেশীর মধ্যে চাঁপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পাঠকের মতামত: